২ জাতের আম চাষ করে বছরে আয় ২০ লাখ টাকা

বেকারত্বের কারণে পরিবার নিয়ে কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন স্বপন। এলাকার কয়েকজন আত্মীয়ের পরামর্শে গত বছর তিন বছর ধরে ধাইনগর এলাকায় প্রথমে আড়াই বিঘা জমি লীজ নিয়ে আমের বাগান গড়ে তোলেন তিনি।

এরপরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে স্বপন ১৮ বিঘা জমি লীজ নিয়ে বিশাল আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। বলছিলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককির্তীর আম চাষি স্বপনের কথা।

স্বপন জানান, প্রথম আড়াই বিঘা জমিতে কাটিমন, গোল্ডেন ম্যাংগো এবং বারি-১১ আমের ৫০টি গাছ লাগান। গাছের মাঝে মাঝে লেবুসহ আমের চারা রোপণ করেন। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

আম চাষি স্বপন আরও জানান, বর্তমানে তিনি ১৮ বিঘা জমিতে তিনজাতের আমের চাষ করছেন। এছাড়া তিনি মর্দানায় আরও কিছু জমি লীজ নিয়ে বাগান তৈরি করছেন। তিনি বলেন, প্রতি বিঘা বাগানে আম বিক্রি করেন আড়াই লাখ টাকার।

তিনি বলেন, আম বাইরে বিক্রি করতে করতে যেতে হয় না। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ক্রেতা এসে কিনে নেয়। এছাড়া অনলাইনে অর্ডার অনুযায়ী আম বিক্রি করে থাকেন। বছরে তিনবার আম ধরে। সে আম বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে অন্তত বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় হয়। ফলে আম চাষে ভাগ্য বদলেছে স্বপনের।

শ্যামপুর এলাকার অনলাইন আম ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ জানান, তিনি ঢাকায় থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ী স্বপন এবং গোমস্তাপুর উপজেলার করমজা গ্রামের মুন্জুর রহমানের কাছে আম কিনে সারাদেশে সরবরাহ করে থাকেন।

দুই বাগান মালিকের আম কিনে ব্যবসা করে তারও আয় ভালো হয়। তিনি আরও জানান, কাটিমন, গোল্ডেন ম্যাংগো এবং বারি-১১ আমের সারাদেশজুড়ে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

ফেসবুকে আম বিক্রির পোস্ট দিলেই অনেক ক্রেতা আমের অর্ডার দিয়ে থাকেন। এখন বর্তমানে প্রতি কেজি আম ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, সারাদেশে এখন আমের বাগান তৈরি হচ্ছে। অধিকাংশগুলোয় মৌসুমি আম। যা বছরে একবার ফলন দেয়। তবে এখনও বেশ কয়েক জাতের আমে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তিনি বলেন, কাটিমন, গোল্ডেন ম্যাংগো, বারি-১১সহ কয়েক জাতের আম বছরে তিনবার হচ্ছে। এগুলোর প্রচুর চাহিদা। চাহিদা থাকায় বাগান মালিকসহ জেলার মানুষকে এসব আম গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।